AVERAGE

What do you expect of yourself? What do you think of yourself? When our inner self asks us a question, we tend to think about our abilities and judge ourselves, because self-doubt makes us vulnerable. Because we are average!

We want to feel superior to others in our society and be respected by others, but in the end, we are discouraged by our history and feel inferior. Because we are average!

Is it society or people that make us feel average, or is it our inner self that is so afraid to take risks and remains in an endless loop of self-judgment that makes us believe we are average?

Maybe it’s time for us to decide whether we are average or not. Maybe it’s a relative term, not an absolute, not a universal truth, but it’s always better to be average at worst to be exceptional at best. Because we are average!

Overestimation

What if we start to overestimate our goals? In this case, we may not reach our overestimated result, but we can get closer to it, which satisfies us to a certain extent and helps us to better discover our true potential and gives us an idea of how to perform better next time.

Suppose we have to work on a project for 6 hours on a particular day. If we overestimate it to 8 hours, then we can certainly work 6 hours. But if we only think about 6 hours, we could end up working less. Suppose we have to score 70 points in a particular subject. If we overestimate it to 80 points, we might score 70 points, but if we only think of 70 points, in most cases, we will score less than 70 points. Suppose in a cricket match, the team that won the toss knows that the average score on the pitch is 250 and is difficult to chase, so if they overestimate it to 270, then they might reach a total of 250 and can win the match

So, overestimation is impossible to achieve in some cases, but it is worth striving for as it can help us become a better version of our former selves in every way.

They…. but, Struggle

Those negative thoughts that came to our mind is temporary!

The hard feeling of helplessness is temporary!

The difficult moments stayed longer than usual is temporary!

 The criticism is temporary!

………… They are all temporary!

But,

“goal” we want to achieve is permanent,

“Sleepless night that cause headache” is permanent,

“Almighty Lord and his/her Grace upon us” is permanent,

“Parents & their blessings” is permanent,

“True Friend’s company” is permanent,

……… so, as Struggle.

প্রতীক্ষা

ছোট্ট জায়গায় বাসস্থান হেতু অচেনা পৃথিবীর বুকে ঘটে যাওয়া নিত‍্যনতুন ঘটনার সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে কখনো কখনো মন চায় ডানা মেলে উড়ে যেতে দূরে ওই নীল সীমানার তরে। সময়ের সাথে সাথে একদিকে বেড়ে ওঠা, স্বপ্ন দেখা, নিত‍্যনতুন ভাবনায় বশীভূত হয়ে অচেনা অজানা পরিস্থিতিকে আহ্বান জানানো যেন প্রতিদিনের হিসেব নিকেশের মধ‍্যেই পড়ে। কি বা কেন এই সব প্রশ্নের বেড়াজালে আবদ্ধ না থেকে সবেতেই অবাধ বিচরণে সদা ব‍্যাকুল। ক্রমে সময়ের স্রোতে ভেসে চলি প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে, কিন্তু কিসের প্রতীক্ষা? দিবারাত্র সর্বদা মনে ঠাঁই পাওয়া সেই প্রতীক্ষার অবসান তো আর ঘটলো না! যাকে আমি প্রতীক্ষা বলে ভাবছি সে আসলে ডানা মেলে উড়ে যেতে চাওয়া কোনো এক ভাবনার আবির্ভাব যে দিগভ্রষ্ট হয়ে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে নাজেহাল। ভাবনা আর প্রতীক্ষা, এই দুইয়ের  দোটানায় ক্রমাগত নিজেকে খুঁজে পাওয়া আবার পরমুহুর্তেই নিজেকে হারিয়ে ফেলা। প্রসন্নতা আর উদ্বিগ্নতা এই দুইয়ে স্বভাবসিদ্ধ হয়ে উঠি সময়ের বাতাবরণে আর প্রতীক্ষা রয়ে যায় তারই মাঝে এক মায়াবী আচ্ছাদনের ন‍্যায়, যাকে প্রত‍্যক্ষ দর্শন তো করি কিন্তু ভেবে পাই না কোথায় তার অবসান!

সময় যেন হাত ধরে পথ চলতে শেখায় আর বুঝতে শেখায় প্রতীক্ষা হল পথ চলতে না পারা দিগভ্রষ্ট নাবিকের ন‍্যায় যে ডাঙার খোঁজে বড়োই ব‍্যাকুল।তাই, সময়ের সাথে আত্মদর্শন আর দৃঢ়প্রতিঞ্জ হয়ে স্রোতের তরে ভেসে চলাই হয়তো জীবণের মূলমন্ত্র আর ঠিক এভাবেই ঘটবে প্রতীক্ষার অবসান!

মধুর সন্ধিক্ষণ

শেষ মেষ যখন পোষ্ট গ্র‍্যাজুয়েট টা করব বলে মনস্থির করেই ফেললাম,স্বভাবতই সেই উদ্দেশ্য নিয়ে কলেজে পড়তে আসা।

অচেনা অজানা জায়গা। তার উপর সব মুখই অচেনা। হয়তো পেরে উঠছিলাম না নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে। তাই, প্রায়শই মনের অসহায়পন্নতা কাটাতে সন্ধ‍্যার শেষ আলোর হাতছানিতে বেরিয়ে পড়তাম চায়ের উদ্দেশ‍্যে।সত‍্যি বলতে এই চা জিনিসটা ছিল আমার অসহায়পন্নতা দূর করার একমাত্র মাধ‍‍্যম ।চায়ের সাথে যেন আমার জন্ম জন্মান্তরের সম্পর্ক, ছেড়ে বেঁচে থাকাই দায়।

এমনই কোনো এক সন্ধ‍্যায়, গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে হাঁটতে, অজান্তেই চোখ চলে গেল ওই দূরে আকাশের দিকে। সে এক অপার্থিব সৌন্দর্য‍্য। ক্ষণিকের জন‍্য মনে হল যেন আমি কোনো মায়াজালে বশীভূত হয়ে সমস্ত পার্থিব জ্ঞান হারিয়ে এক পরম ব্রম্ভমুহুর্তের সাক্ষাৎ করে ফেললাম। আবেগপ্রবণ ভারাক্রান্ত মন নিমেষে তার বিগত কয়েক মাসের জরাজীর্ণ ভাব ঝেড়ে ফেলে আবার নতুন করে সেজে উঠল।

বুঝতে পারলাম সেই মধুর সন্ধিক্ষণ তো ক্ষণস্থায়ী, তাই ততক্ষণাৎ ক‍্যামেরাবন্দী করব বলে মনস্থির করে ফেললাম।

আজও যখন একাকিত্ব বোধ করি, যান্ত্রিকতা আর সোশ্যাল মিডিয়ার কৃত্রিমতার চাপে পড়ে লক্ষ‍্যভ্রষ্ট হয়ে বাঁচার রসদ হারিয়ে ফেলি, স্থান কাল বিচার না করে প্রকৃতির বুকে চেষ্টা করি সাক্ষাৎ পাবার সেই মধুর সন্ধিক্ষণের, এই আশায় যেন সে আবার নতুন করে বাঁচতে শেখাবে। প্রকৃতির সেই মধুর সন্ধিক্ষণ যেন সদা সর্বত্র বিরাজমান নানা রূপে নানা ভাবে ।

নিরুদ্দেশ!

রবিবারের পড়ন্ত বিকেল,ছিটেফোঁটা বৃষ্টি আর তারই মাঝে শেষ বারের মতো অস্তগামী সূর্যের সোনালী আভার হাতছানি!

দুই বন্ধু ঝিলপাড়ে গাছের তলে বসে গল্পে মশগুল;বৃষ্টি,পানীয় আর গল্পের তাড়নায় যে কখন নিরুদ্দেশ তা বুঝে উঠতে পারি নি,তারই মাঝে চকিতে সূর্যের সোনালী আভা মুষড়ে পড়া নেশাগ্রস্ত ইন্দ্রিয় গুলোকে সজাগ করে তুলতে বড়োই ব‍্যাকুল!

প্রকৃতির এমন অমলিন মধুর সন্ধিক্ষণ যেন নিরুদ্দেশ হবারই জন‍্য,কিন্তু এ যে ক্ষণস্থায়ী! দেখতে দেখতে সন্ধিক্ষণ কাটিয়ে অন্ধকার এসে যেন নিরুদ্দেশ হবার পথে বাধ সাধল!

করোনার প্রকোপে দীর্ঘ দশ-মাস ব‍্যাপী ঘরবন্দী জীবন থেকে রেহাই পেতে ইচ্ছে করে প্রকৃতির এমন অমলিন মধুর সন্ধিক্ষণে সেই ক্ষণিকের তরে আবার নিরুদ্দেশ হওয়ার!

সহজ-পাঠ

তখন আমি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষে পা দিয়েছি।ঘরে থাকাকালীন বাবা-মার কড়া শাসনে যে নিতান্তই সাদামাটা গোবেচারার Image টা এতদিন ধরে তৈরী হয়েছিল সেটার পাঠ চুকিয়ে;এককথায় বলতে গেলে মোটামুটি সেই বাধ‍্য ছেলের tag টা ঝেড়ে ফেলে বেয়াদপিটাকেই জীবনের অবিচ্ছেদ‍্য অঙ্গ করে ফেলেছি। Lecture bunk মেরে নির্লজ্জের মতো ঘুরে বেড়ানোতে বড়োই অভ‍্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। সঙ্গে জুটেছিল ছবিতে থাকা এই অচেনা অজানা দুই বেয়াদপ ।

জায়গাটা প্রিন্সেপ ঘাট,ছবিগুলো আমারই তোলা।দেখতে দেখতে চারটে বছর কেটে গেল,কিন্তু ছবিগুলোর দিকে তাকালে মনে হয় এইতো সেদিনই ঘুরতে গিয়েছিলাম !

ছোট থেকে যেখানেই যাই না কেন,বাবা-মা-পরিবার-পরিজন-শিক্ষক সবাই একই পাঠ পড়াতো।কিভাবে ফুলমার্কস আনতে হয়!কিভাবে যেকোনো এন্ট্রান্স এর প্রস্তুতি করতে হয়!কিভাবে সর্বদা বইয়ের মধ‍্যে মুখ গুঁজে বাধ‍্য ছেলের মতো পড়াশুনো করতে হয়।কিন্তু আমি এই পাঠ-এ অতটা পটু ছিলাম না!

তাই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এইগুলোর সাথেই চেষ্টা করলাম এক নতুন পাঠ পড়ার ~বন্ধুত্বের পাঠ।অচেনা মুখ দেখলে স্বভাবতই আমাদের লাজুক মন চায় না, মুখ খুলে নিজেদের পরিচয় দিয়ে নতুন সম্বন্ধ গড়তে।কিন্তু তার সাথে যদি হাসির ছোঁয়া প্রথম সাক্ষাতেই মুখে লেগে থাকে, তখন মন হেসেখেলে বলে ওঠে “বন্ধুত্বের পাঠ পড়তে ক্ষতি কোথায়”!

দেখতে দেখতে অনেকগুলো বছর কেটে গেছে কিন্তু আজও আমরা একজন আরেকজনকে বন্ধুত্বের পাঠ পড়ায়।এরই মধ‍্যে হাসি ঠাট্টা,ঝগড়া,অভিমান,ভুল বোঝাবুঝি,ক্ষমা চাওয়া-এই সমস্ত পাঠ পড়ে নিজেকে অনেকটাই বদলে ফেলতে পেরেছি।

সত‍্যিই এ যেন সহজপাঠ!

Design a site like this with WordPress.com
Get started